ভারত হঠাৎ বন্ধ করল ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা, ঢাকার জন্য চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ (Bangladesh) ও ভারত (India)র মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে হঠাৎ করেই ভারত বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধাক্কার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের পণ্য নেপাল (Nepal) ও ভুটান (Bhutan) হয়ে পরিবহন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউনূসের বক্তৃতায় নীরবতা ও আবেগ
এদিকে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে’ বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগে কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। প্রায় এক মিনিট তিনি মঞ্চে নীরব ছিলেন, যা তাঁর বক্তব্যের অন্যতম গভীর মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ বিষয়ে বলেন, “নীরবতা অনেক সময় সোনার চেয়েও দামি।” তিনি জানান, ওই নীরবতা অংশটি অনিচ্ছাকৃতভাবে বক্তৃতার ভিডিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তবে সেটিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক স্থগিত, ধন্যবাদ জানাল ঢাকা
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই ঘোষণার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, “আমাদের অনুরোধে ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্তে সম্মতি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, মি. প্রেসিডেন্ট। আমরা আপনার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”
বিশ্লেষণ ও প্রভাব
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ফলে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি কার্যক্রমে বড় বাধা সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ এবং পরবর্তী স্থগিতাদেশ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে।