সঠিক বিচার করলে বাহিনীগুলোতে সিনিয়র জেনারেলের সংখ্যা থাকবে না: তাজুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের মন্তব্য

তাজুল ইসলাম (Tajul Islam), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর, বলেছেন যে দেশের বাহিনীগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে যদি সঠিক বিচার প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, তবে অনেক সিনিয়র জেনারেলের অবস্থান থাকবে না। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “প্রত্যেকটা বিচার করলে, বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যও যেমন থাকবে না, আবার সঠিক মাত্রায় বিচার করলে বিভিন্ন বাহিনীর সিনিয়র জেনারেলের সংখ্যাও কিন্তু থাকবে না। শূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

পুলিশের ভূমিকা ও জবাবদিহিতা

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police)”-এর প্রায় সকল সদস্যকে সাজা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “দুই লক্ষ পুলিশের মধ্যে একজন বাদে সবাইকে সাজা দিতে হবে। কারণ একজন পুলিশ অফিসার প্রতিবাদ করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাকি সবাই শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পরিকল্পনার সাথে একমত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।”

তবে বাস্তবতার দিক বিবেচনা করে তিনি বলেন, এটি সম্ভব নয় বা প্র্যাকটিকাল নয়। তাই তিনি জোর দেন মূল পরিকল্পনাকারী, মাস্টারমাইন্ড এবং সুপেরিয়র কমাণ্ডারদের বিচারের উপর।

রাষ্ট্রের টপ কমাণ্ডারদের বিচার দাবি

তাজুল ইসলাম বলেন, “এত বড় অপরাধ যদি হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন উঠে—শেখ হাসিনা যদি না থাকতেন, তবে এই মাত্রার অপরাধ কি হতো?” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, যদি একজন ব্যক্তির সাজা নিশ্চিত করা যায়, তবে হাজার হাজার হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা নিচের লেভেলের কনস্টেবল পর্যন্ত যেতে চাই না। আমরা চাই টপ লেভেলের যারা রাষ্ট্রের অবনতির জন্য দায়ী, তাদের বিচার।”

সুপেরিয়র ও গ্রাউন্ড লেভেল—দুজনেরই বিচার হবে

চিফ প্রসিকিউটর আরো জানান, শুধু সুপেরিয়র অফিসার নয়, যারা মাঠ পর্যায়ে গুলি করেছে, আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়েছে—তাদেরও বিচার হবে। কারণ, এসব কাজ তারা অনেক সময় সুপেরিয়র অফিসারের নির্দেশ ছাড়াও করেছে। তিনি বলেন, “এই কাজগুলো তো সুপেরিয়র অর্ডার দেয় নাই। তাই সুপেরিয়রদের পাশাপাশি যারা গ্রাউন্ডে আইডেন্টিফাই হয়েছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।”