ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ
কী ঘটেছে?
ভারত (India) আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ (Bangladesh)-কে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ আর ভারতের স্থলপথ ও বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন (Sheikh Bashir Uddin)-এর নেতৃত্বে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) (Export Promotion Bureau – EPB)-তে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ভারতকে কোনো অনুরোধ জানানো হবে না। বরং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বন্দর সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
ভারতের সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কী?
অনুমান করা হচ্ছে, এটি ভারতের প্রতিক্রিয়ামূলক সিদ্ধান্ত। কারণ, ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ভারত থেকে সুতা আমদানিতে স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই সিদ্ধান্তের জবাবে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম (BKMEA President Mohammad Hatem)।
বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা কতটুকু?
ইপিবি ও ব্যবসায়ীদের মতে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না। তবে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
তাৎক্ষণিক প্রভাব কী পড়েছে?
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর (Petrapole Port)-এ পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠানো হয়েছে। কারণ, কার্পাস অনুমোদন না থাকায় এসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি।
পটভূমি
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত প্রথমবার বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু করেছিল। এটি ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উপসংহার:
এই পরিস্থিতি আঞ্চলিক বাণিজ্য কূটনীতির একটি জটিল অধ্যায় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৌশলগতভাবে আত্মনির্ভরশীলতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ এক নতুন বাণিজ্যনীতির সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।