ভারতের কৌশলী তৎপরতা ও কূটনৈতিক চাপ
বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত (India)। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন মোদি সরকার (Modi Government) যেকোনো মূল্যে ঢাকার বুকে ‘বিষ দাঁত’ বসাতে চাইছে বলে কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ (Bangladesh)কে বেকায়দায় ফেলতে এখন শুধু একটি সুযোগের অপেক্ষায় দিল্লি।
ভারতের কূটনৈতিক কৌশল বারবার ব্যর্থতায় ফেরায় তারা এখন হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন, ভারতের এই মনোভাব এক ক্ষুব্ধ প্রেমিকের মতো, যে এখন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল: প্রতিশোধ নাকি কৌশল?
সম্প্রতি, হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ধারণা করা হচ্ছে, চীনে অবস্থানকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস (Dr. Mohammad Yunus) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টারস (Seven Sisters) অঞ্চল নিয়ে মন্তব্য করায় এই সিদ্ধান্ত এসেছে। ভারতের গণমাধ্যমে একে “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্যত স্ট্রাইক” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে বাংলাদেশের বড় কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু হয়েছিল মাত্র পাঁচ বছর আগে। তার আগে বাংলাদেশ স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হয়েছে। ভারত নিজেদের স্বার্থে আঘাত করে বাংলাদেশকে কষ্ট দিচ্ছে বলে ভাবছে।
চীন সফর ও কৌশলগত উত্তেজনা
চীন (China) সফরে ড. ইউনূস বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চল সমুদ্রবিহীন এবং এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রপথ হলো বাংলাদেশ। তিনি চীনা বিনিয়োগ আহ্বান করেন, যা দিল্লির চোখে একধরনের ‘মারাত্মক অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এই মন্তব্যে ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উদ্বেগ বেড়ে গেছে। তাদের ভয়, বাংলাদেশ যদি পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
মোদি সরকারের চাপে পড়া কূটনৈতিক অবস্থান
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধর্মীয় উগ্রবাদকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকা মোদি সরকার এখন তাদেরই পাতা কূটনৈতিক ফাঁদে পড়ে যেতে বসেছে। নিজেদের আগ্রাসী নীতির কারণে তারা এখন বহির্বিশ্বে প্রতিপক্ষ তৈরি করে ফেলছে, বিশেষত বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সঙ্গে।
সূত্র: YouTube লিংক