আগুনের প্রতীকি বার্তা ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki), বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা (Culture Advisor), সামাজিক মাধ্যমে তার এক স্ট্যাটাসে সাম্প্রতিক বর্ষবরণ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া আগুনের ঘটনাকে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি জানান, বর্ষবরণ উপলক্ষে নির্মিত ফ্যাসিবাদের প্রতীকী মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি “হাসিনার দোসরদের” দায়ী করেছেন। তার মতে, এটি ছিল শোভাযাত্রাকে স্তব্ধ করার একটি অপচেষ্টা।
শোভাযাত্রায় আগুনের পর প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদের প্রতীক
ফারুকী মনে করেন, এই আগুন বরং শোভাযাত্রার তাৎপর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এই ঘটনার পর “দানবের মুখ” আর বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। বরং এটি আরও শক্তিশালী প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, “এবারের শোভাযাত্রা আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।” এই ঘটনাটি যেন বরং জনসচেতনতা ও ঐক্যের আহ্বান হিসেবে কাজ করছে। তিনি এটিকে একটি হুঁশিয়ারি হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন—যারা এমন কাজ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
“জুলাই আন্দোলন” এবং সাংস্কৃতিক সংযোগ
ফারুকী তার বক্তব্যে “জুলাই চলমান” বাক্যটি ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন, এই শোভাযাত্রাও সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরই একটি অংশ। এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিরোধের এক নতুন ধারার সূচনা হচ্ছে, যেখানে সংস্কৃতি একটি প্রতিবাদী শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে “দানবের মুখ”
তিনি বিশ্লেষণ করেন, ফ্যাসিবাদ এখন আর শুধুই একটি রাজনৈতিক শব্দ নয়—এটি এক সাংস্কৃতিক প্রতীক। আগুনে পোড়া সেই মুখাকৃতি বাস্তবে না থেকেও মানুষের চেতনায় আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
বর্ষবরণ উৎসব এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার ছেদবিন্দুতে দাঁড়িয়ে ফারুকীর এই বক্তব্য মনে করিয়ে দেয়, সংস্কৃতি শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি প্রতিবাদের এক দৃঢ় হাতিয়ার।