কুষ্টিয়া-য় ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও আওয়ামী লীগের নেতা মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম বর্ষবরণ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় সামনের সারিতে অংশ নেন। তার উপস্থিতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলে।
আনন্দ শোভাযাত্রায় আসামির অংশগ্রহণ
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার ব্যানারের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম।
মামলা ও অভিযোগ
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তামজিদ হোসেন জনি নামে এক যুবকের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম ৪২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার প্রধান আসামি মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি।
২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই জিলহজ হোসেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৪০ থেকে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া
ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কুষ্টিয়ার নাগরিক কমিটি-র প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহা বলেন, “যারাই ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের নিয়ে পথ চলবে, তারাই নিন্দনীয়।”
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি-র সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, “এমনটা কেন হলো! জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।”
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “আমি কিছু জানি না, তবে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।” কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, “আমি তাকে চিনি না, খেয়াল করিনি। যদি তিনি মামলার আসামি হন, তাহলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলব।”