বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আটকে থাকার পেছনে দুটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। এর একটি হলো মামলার শুনানির সময় আইনজীবীর অনুপস্থিতি এবং অপরটি বিচারপতির দুর্ঘটনার কারণে আদালতে অনুপস্থিতি। এদিকে দলটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, তারা ন্যায়বিচার পাবেন এবং দলীয় প্রতীক ফিরে পাবেন।
শুনানি বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা
শিশির মনির জানান, জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটি একটি ‘সার্টিফিকেটের আপিল’। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল হয়েছে, যেখানে সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত। পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হলেও মামলার প্রতিপক্ষের আইনজীবী দেশের বাইরে থাকায় সময় নিতে হয়। এরই মধ্যে একজন বিচারপতির দুর্ঘটনার কারণে শুনানির বিলম্ব ঘটে।
তিনি বলেন, “আশা করা হচ্ছে, কোর্ট খুললে ২২ ও ২৩ এপ্রিল মামলার শুনানি আবার শুরু হবে এবং দ্রুতই শেষ হবে।”
জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াত ১৯৭৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং ৫৫ জন সংসদ সদস্য ছিলেন আমাদের, যার মধ্যে ৫ জন ছিলেন নারী।” তিনি আরও বলেন, “নিবন্ধন না পাওয়াটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। আমরা আশা করি, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাবো।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের পরও এখনও জামায়াতের নিবন্ধন ঝুলে রয়েছে। দলটির প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার বিষয়টি বর্তমানে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।