লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ, উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমানও

যুক্তরাজ্যের লন্ডন (London)–এ বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)–র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) আমির শফিকুর রহমান (Shafiqur Rahman)। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)।

তারেক রহমানের বাসায় দীর্ঘ সময় ধরে সাক্ষাৎ

সূত্র জানায়, এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় তারেক রহমানের লন্ডনের বাসভবনে। মারুফ কামাল খান সোহেল (Maruf Kamal Khan), বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব, ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, “ইউরোপ সফর শেষে লন্ডনে পৌঁছে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”

আলোচনার বিষয়বস্তু অজানা, রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

মারুফ কামাল লেখেন, “সাক্ষাতে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এটি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ নাকি রাজনৈতিক সমঝোতার ইঙ্গিত—তা সময়ই বলবে।”

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। সূত্র মতে, এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রবিবার (১৩ এপ্রিল)।

ব্রাসেলস সফর শেষে লন্ডনে যাত্রা জামায়াত নেতাদের

জানা গেছে, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান গত ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। সফরসঙ্গী ছিলেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণে সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)ইইউ পার্লামেন্টের সাউথ এশিয়ান ককাস-এর এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত নেতারা। এরপর লন্ডনে যান এবং সেখান থেকেই শফিকুর রহমান দেশে ফেরেন ১৪ এপ্রিল সকালে।

জামায়াতের ফেসবুক পেজে শফিকুর রহমান লিখেছেন, “অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ব্রাসেলসে গিয়েছিলাম। সেই গল্প আর প্রিয় জন্মভূমিকে নিয়ে পরিকল্পনা শিগগিরই শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।”

সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব পাচ্ছে সাক্ষাৎ

বিএনপি ও জামায়াত শীর্ষ নেতাদের এ সাক্ষাৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশের নির্বাচনপূর্ব সময় এবং রাজনীতিতে সাম্ভাব্য জোট কিংবা কৌশলগত সমন্বয়ের সম্ভাবনাও জল্পনা তৈরি করেছে।