ক্রিকেটার ও ব্যবসায়ী সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) বলেছেন, তাঁর সম্পত্তি যেভাবে ক্রোক করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি কাঁকড়ার খামার ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং দাবি করেন, কোনো অপরাধ করেননি।
ব্যবসায়িক জটিলতা ও সম্পত্তি ক্রোক নিয়ে ক্ষোভ
২০২৪ সালের আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দেশে ফেরেননি সাকিব। তাঁর নামে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান। কাঁকড়ার খামার এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি খামারটির ৩৫ শতাংশের মালিক। কিন্তু সব দায় আমার কাঁধে চাপানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অন্য অংশীদারদের নাম কোথাও নেই। আমি তো ব্যবসার মূল পরিচালনায় ছিলাম না।”
ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বিষয়ে সাকিব জানান, “এই ব্যবসার নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৪ কোটি টাকা। আমার শেয়ারের অংশ অনুযায়ী ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেই হয়। এত অল্প টাকার জন্য আমার সম্পত্তি যেভাবে ক্রোক করা হয়েছে, সেটা কখনোই স্বাভাবিক না।”
উল্লেখ্য, চেক প্রতারণা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Chief Metropolitan Magistrate Court) সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছিল।
শেয়ারবাজারে সাকিবের অবস্থান
শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে গত বছর সাকিব আল হাসান-কে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে তিনি বলেন, “আমি নিজে কোনো কারসাজি করিনি। আমার ফোনে ট্রেডিং অ্যাপও নেই। আমি কেবল একজনকে টাকা দিয়েছিলাম বিনিয়োগের জন্য—যা লোকসানে গেছে। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারেন আমি এক টাকা লাভ করেছি, তবে যা কিছু আছে দিয়ে দেব।”
দেশে ফেরার আগ্রহ ও তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস
সাকিব জানান, তিনি সবকিছুর সমাধান চান এবং পালিয়ে থাকতে চান না। “যদি তারা চায়, আমি দেশে এসে তদন্তে সহযোগিতা করবো, আমি প্রস্তুত। আমি কিছু লুকাচ্ছি না বা পালিয়ে যাচ্ছি না।”
সামগ্রিকভাবে তিনি দাবি করেন, “আমি মনে করি না, আমি কোনো অপরাধ করেছি। তখন পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। এখন যখন শান্ত হয়েছে, মানুষ বুঝতে পারছে—শুধু একটি ছবির কারণে এমন শাস্তি হওয়া অনুচিত।”