Tuesday , September 26 2023
Breaking News
Home / Countrywide / মেহেদীর রং এখনো মুছেনি, বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে সামিয়া

মেহেদীর রং এখনো মুছেনি, বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে সামিয়া

চলতি বছরের গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সামিয়ার। কিন্তু বিয়ের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয় তাদের মাঝে। জানা যায়, এ বিয়েতে মত ছিল না কবিরের। সেই সূত্র ধরেই প্রায় তাদের মাঝে কলহ লেগেই থাকতো। আর এরই মধ্যে এলো সামিয়ার মৃত্যুর খবর।

মেহেদীর রং এখনো মুছেনি, এর মধ্যেই সামিয়াকে হারানোর খবরে রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের সদস্যের মাঝে।

বিয়ের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি ফিরেছে তার মৃতদেহ। এর আগে দুপুরে স্বামীর টঙ্গীর কাঁঠালদিয়ার বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ।

নিহত সামিয়া সুলতানা (২০) গাজীপুরের কালীগঞ্জের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের রাধুরা গ্রামের কৃষক মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তিনি।

নিহতের চাচা আবদুল কাদির জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঁঠালদিয়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সামিয়ার। বিয়ের দিনেই নববধূকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যায় কবির। তুলে নেওয়ার ৪ দিন পর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে শ্বশুর বাড়ি আসে সে। গত শুক্রবার সামিয়াকে নিয়ে টঙ্গী ফিরে কবির। ফিরেই অকারণে খারাপ আচরণ শুরু। জানায় ‘বাবা-মার চাপে সামিয়াকে বিয়ে করেছে। অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল তার’। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।

সোমবার রাতে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ‘অপছন্দ’ এবং ‘ঝগড়ার’ বিষয়টি সামিয়া রাতেই বড় বোন সেলিনাকে মোবাইলে জানায়। সকাল ১০টায় মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা টঙ্গী থানায় গিয়ে সামিয়ার দেহ দেখতে পান। কবির তার ভাতিজিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তাঁর।

About

Check Also

উড়ছে শকুন, যে কোনো সময় মানচিত্রে থাবা দেবে: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মাঝে মাঝে আলোচনায় উঠে আসেন। তিনি রাজনীতিতে দীর্ঘদিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *