বিএনপি ধ্বংসের ‘মিশনে’ প্রথম আলো, ডেইলি স্টার: কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন

দুই দশক ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপপ্রচার ও চরিত্রহননের অভিযোগ তুলেছে কালের কণ্ঠ। পত্রিকাটি দাবি করেছে, ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রথম আলোডেইলি স্টার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার কাজ করে যাচ্ছে।

তিন পর্বের অপপ্রচারের অভিযোগ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম আলো তিন ধাপে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছে:
১. দুর্নীতির ভিত্তিহীন অভিযোগ
২. জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রচার
৩. নেতিবাচক রাজনৈতিক প্রচারণা

পত্রিকাটির ভাষ্য মতে, ২০০১ সালে বিএনপির ভূমিধস বিজয়ের পর থেকেই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ‘মিশন’ শুরু করে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যার বেশিরভাগই বাস্তবে প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।

তথ্যচিত্রের ব্যাখ্যা

বিভিন্ন সময় প্রথম আলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন যেমন— “ফাইবার কেবল স্থাপন অনিশ্চিত”, “বিএনপি পল্লী”, “জঙ্গিবাদের মদদদাতা বিএনপির ৮ মন্ত্রী” কিংবা “বিশ্বব্যাংক টাকা ফেরত চায়”—এগুলোর পেছনে তথ্য ও ভিত্তির অভাব ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এছাড়া, লুৎফুজ্জামান বাবর, মির্জা আব্বাস, আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস দুলু প্রমুখ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারিত জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক বলে অভিহিত করা হয়।

‘বাংলা ভাই’ ও জঙ্গিবাদের গল্প

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ‘বাংলা ভাই’ ও মুফতি হান্নানের মতো কুখ্যাত ব্যক্তিদের সৃষ্টি ও প্রচারের মাধ্যমে বিএনপিকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার দায়ী করা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এসব কল্পিত চরিত্রের মাধ্যমে দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা চলেছিল।

আন্তর্জাতিক প্রভাব ও রাজনৈতিক ফায়দা

এই অপপ্রচারের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ‘পুনর্বাসন’ করার সুযোগ তৈরি হয় বলে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়, এমন ধারাবাহিক প্রচারণার ফলে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পটভূমি তৈরি হয়েছিল, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হয়।

বিচার ও দৃষ্টান্তহীনতা

সবশেষে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রচারণার জন্য প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারকে কখনো জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়নি, যা গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করা হয়।