[জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়ার পদত্যাগ]

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party)–র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ এম ভূঁইয়া (Rafid M Bhuiyan) পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে তিনি দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের দপ্তর সেলে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রাফিদ এম ভূঁইয়া জানান, তিনি ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগ করেছেন। তাঁর ভাষায়, “আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। গত ১৭ এপ্রিল রাতে পদত্যাগপত্রটি দপ্তর সেলে জমা দিয়েছি।”

তবে তাঁর এই পদত্যাগ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি এনসিপি (NCP)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য

পদত্যাগের আগের দিন শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা (Uttara) এলাকায় আওয়ামী লীগ (Awami League)–এর একটি মিছিল নিয়ে নিজের ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন রাফিদ। সেখানে তিনি দাবি করেন, “এয়ারপোর্টে আজ যে মিছিল হলো সেটার পিছে অন্তত গত ৩ মাস ধরে কাজ করা হইছে। এই মিছিলগুলা যাতে হতে না পারে সেজন্য আমরা সবাই অনেক কাজ করছি।”

তিনি আরও লেখেন, “রাতের আঁধারে কেউ গ্রাফিতি আঁকলেও তাকে আইডেন্টিফাই করা, উত্তরার কোথায় থাকে, ফান্ডিং কে দেয়—সব বের করছি। কিন্তু ওদের বিপক্ষে কিছু করা যায়নি। প্রশাসন তো হেল্পফুল না—এটা একটা ব্যাপার। তবে প্রশাসন যাতে কাজ না করতে পারে, সেজন্য উত্তরবঙ্গের দুই নেতা (একজন আবার অভ্যুত্থানের মহানায়ক ক্যান্ডিডেট) অ্যাকটিভলি কাজ করছে। লোকাল ছাপড়িদের টাকা খাইয়ে পুনর্বাসন করছে। ওই টাকা আবার রবিনহুডের মতো গরিবদের ঈদ বাজার করে নিজের প্রচারণা চালিয়েছে।”

এছাড়া তিনি দাবি করেন, “গতকাল ওই ছাপড়ি গ্যাংয়ের একজন এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ধরা পড়ার পর ঠিকই তদবির করতে দুই নেতার একজনের নাম ভাঙিয়ে কল দিয়েছে বাগছাসের এক নেতা।”

রাফিদের মন্তব্যের পেছনের বার্তা

তিনি শেষমেশ লেখেন, “এটাই বাস্তব। ‘রাজনীতি করতে টাকা লাগবে’, ‘এদের একটা পলিটিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আছে, ওইটা ধরতে হবে’, ‘আরে ব্যবসায়ী তো সবার সাথেই গুড রিলেশন’ বলে আওয়ামীদের সেইভ দেওয়া হবে যাতে মিছিল লম্বা হয়।”