[লন্ডনে খালেদা জিয়ার শারীরিক উন্নতির পেছনের কারণ প্রকাশ]

বিএনপি (BNP) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (Khaleda Zia) বর্তমানে লন্ডনে (London) উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে যান এবং পরিবার ও চিকিৎসকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ শুরু করেন।

পরিবারের সান্নিধ্য ও মুক্ত পরিবেশ

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম (Dr. Rafiqul Islam) বলেন, “ম্যাডাম তো দেশে বন্দি অবস্থায় ছিলেন। লন্ডনে মুক্ত পরিবেশে ও পরিবারের সান্নিধ্যে রয়েছেন, ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার উন্নতি হয়েছে।”

ঈদুল ফিতরের দিন তারেক রহমান (Tarique Rahman)–এর বাসায় পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করা হয় সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে খালেদা জিয়াকে প্রফুল্ল দেখা গেছে।

চিকিৎসা বিষয়ক তত্ত্বাবধান

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন (Dr. AZM Zahid Hossain), খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সার্বক্ষণিক চিকিৎসা বিষয়গুলো তদারকি করছেন। তিনি বলেন, “ম্যাডাম এখন স্থিতিশীল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত তাকে দেখছেন।”

তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা হিসেবে ‘টিপস’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। হার্টের ব্লক, কিডনি সমস্যাসহ অন্যান্য জটিলতাও মনিটরিং ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।

উন্নত চিকিৎসা সুবিধা

লন্ডনের আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল, উন্নত যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সহজলভ্য হওয়ায় তার শারীরিক উন্নতি ঘটছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত পরিবেশ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

দেশের চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা

বাংলাদেশে তার চিকিৎসা মূলত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে এভার কেয়ার হাসপাতাল (Evercare Hospital)–এ হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল যেমন—বিশেষায়িত পরীক্ষা ও কিছু ওষুধের অভাব।

মনোবল এবং মানসিক প্রশান্তি

খালেদা জিয়ার মানসিক প্রশান্তি এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারার সুযোগ তার মনোবল বাড়িয়েছে। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও মনে করেন, এটি তার দ্রুত আরোগ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

লন্ডনে চিকিৎসা পরিচালনায় যেসব কারণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল:

  • আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল
  • চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ দল
  • উন্নত পরীক্ষাগার সুবিধা
  • নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ প্রাপ্যতা
  • পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্য
  • পরিবেশগত সহনশীলতা