জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizens’ Party) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ (Abdul Hannan Masud) সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অফিসের ছবি নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক (Facebook) প্রোফাইলে দেওয়া পোস্টে তিনি জানান, ছবিতে যেটি দেখা গেছে, সেটি তার ব্যক্তিগত অফিস নয় বরং দলের অস্থায়ী কার্যালয়। তিনি লেখেন, “ওটা আমার ব্যক্তিগত অফিস নয়, এটা আমাদের দলের অস্থায়ী কার্যালয়।”
‘ঈদের পরদিন প্রথম অফিস’—ছবির সূচনা
১২ এপ্রিল দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ লেখেন, “ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রথম দিনের মতো অফিসে আসা। এ এক অন্যরকম ভালোলাগা। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের চলমান সংগ্রাম আপাতত এখান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।”
সেই পোস্টে দেওয়া ছবিতে তাকে একটি সুসজ্জিত অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই তার আর্থিক উৎস ও অতীত জীবনকে ঘিরে প্রশ্ন তোলেন।
সমালোচনার ঝড়
ফেসবুক কমেন্টে একজন, রাশেদ খান লেখেন, “ভাই, এভাবে মেকি হাসি দিয়ে অফিস টাইমের ছবি দিতে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতাম! আপনি জনতার মাসুদ—ওবায়দুল কাদেরের মাসুদ হবেন না।”
মো. আলাউদ্দীন মন্তব্য করেন, “৫ আগস্টের আগেও টিউশনি করে চলতেন। এই অফিসের ভাড়া দেওয়ার টাকা আসছে কোথা থেকে?”
অন্য এক নেটিজেন কটাক্ষ করে লেখেন, “গ্রামের সবচেয়ে ভাঙা টিনের ঘরের ছেলেটা কোনো চাকরি না করেও এত বড় অফিসে বসে গেছে।”
বিভ্রান্তি নিরসনে হান্নান মাসউদের ব্যাখ্যা
হান্নান মাসউদ বলেন, এই অফিস দলীয় কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী জায়গা, যার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরও জানান, “বন্দরে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইং কমিটিতে আমি উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত, তবে আমি বন্দর কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা নই।”
তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।