জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party – NCP)–র দুই মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (Sarjis Alam) ও হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah) এবং যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর (Gazi Salahuddin Tanvir)–এর বিরুদ্ধে ‘বিলাসী জীবন’ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। এই প্রসঙ্গে দলীয় সাধারণ সভায় তাঁদের জবাবদিহি করতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাংলামোটর (Banglamotor)–এ এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সাধারণ সভায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে “শৃঙ্খলা ও তদন্ত কমিটি” গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে বলে দলটি জানিয়েছে।
বিলাসী জীবন ও ব্যক্তিগত ডিলের অভিযোগ
সভার আলোচনায় হাসনাত ও সারজিসের বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জনপরিসরে আলোচিত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সারজিস ব্যাখ্যা দেন, তাঁর জীবনযাত্রা আগে থেকেই সচ্ছল এবং গাড়ি ভাড়া করে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। হাসনাত দাবি করেন, এসব অভিযোগ এনসিপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহলের ষড়যন্ত্র।
গাজী তানভীরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ
ফেসবুকে গণ অধিকার পরিষদের (Gonodhikar Parishad) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan) সরাসরি গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে এনসিটিবির বাণিজ্য, জেলা প্রশাসক নিয়োগে তদবিরসহ বিভিন্ন অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আনেন এবং সারজিস আলমকে তাঁর সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন।
নেতাদের প্রতিক্রিয়া ও জবাব
সারজিস ও হাসনাত সভায় দাবি করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেকে তাঁদের সহযোগিতা চেয়েছেন, যা তাঁরা করেছেন, কিন্তু কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি। তানভীর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি যেকোনো তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
দলের অবস্থান: কেউ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়
সভায় উপস্থিত নেতারা বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের আচরণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেউই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়—এই বার্তা এবার স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়।