ওবায়দুল কাদেরসহ ১২ নেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশের আবেদন

২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইতোমধ্যে ইন্টারপোল সদর দপ্তরে রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করেছে। তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

১২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি উদ্যোগ

রেড নোটিশ আবেদনের সঙ্গে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মামলার বিবরণ ও অভিযুক্তদের সম্ভাব্য অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত করে ইন্টারপোল সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ইন্টারপোল আবেদন গ্রহণ করলে বিশ্বের ১৯৫টি সদস্য রাষ্ট্রে সেই রেড নোটিশ কার্যকর হবে।

রেড নোটিশ মূলত একটি আন্তর্জাতিক ‘ওয়ান্টেড’ বিজ্ঞপ্তি—যার মাধ্যমে অভিযুক্তদের পরিচয়, অপরাধের বিবরণ ও অবস্থান উল্লেখ করে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়।

কলকাতায় কাদেরের সম্ভাব্য অবস্থান

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওবায়দুল কাদের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা-র রাজারহাট নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনে স্ত্রীসহ অবস্থান করছেন। তার অবস্থান হিসেবে ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজা-র কথা বলা হয়েছে।

যদিও ভারত ইন্টারপোল রেড নোটিশ অনুসরণ বাধ্যতামূলকভাবে না করলেও, আন্তর্জাতিক চাপ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক সময় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়।

পালিয়ে থাকা আর সম্ভব নয়?

কাদের এক সময় বলেছিলেন, “পালাবো না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো, না দিলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি তো আছেই।” এখন এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ট্রল ও ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হচ্ছে।

রাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন দিগন্ত

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের পর পালিয়ে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি উদ্যোগ দেশীয় রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে বোঝা যায়, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং রাজনৈতিক বিচ্যুতিও দায়মুক্তির নিশ্চয়তা দেয় না।

এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Sources: Ekushey TV রিপোর্ট