বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত শাহবাগের জুট ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আদালতে তোলা হয় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা নেতা শাজাহান খান (Shajahan Khan)-কে। আজ ২১ এপ্রিল (সোমবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান-এর আদালতে শুনানির সময় তিনি বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
আদালতে হাজিরা ও গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি
ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার সময়ই শাজাহান খান ওই মন্তব্য করেন। তাকে শাহবাগ থানাধীন চানখারপুল এলাকায় জুট ব্যবসায়ী মনির হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতের পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
হাজতখানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বক্তব্য চাইলে শাজাহান খান বলেন, “তোমরা কিছু বলো না। শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।” এরপর তিনি আবারও বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
আগের দিনের ঘটনার প্রেক্ষাপট
এর আগে গতকাল ২০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, “আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে, তাই বলেছি।” তিনি দাবি করেন, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে।
শাহবাগ হত্যা মামলা: পটভূমি
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শাহবাগের চানখারপুল এলাকায় ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-জনতার সঙ্গে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার স্ত্রী ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানা-য় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে ধানমন্ডির বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের বিষয়ে অবস্থান
আদালতের পথেই সাংবাদিকরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”