ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক অডিও বার্তা এবং দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগ (Awami League) নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দেশে ফেরার বদলে দলীয় সিন্ডিকেটকে বিপদের মুখে ফেলে যাওয়া
শেখ হাসিনার মূল লক্ষ্য পুনর্গঠন নয়, বরং দেশে গোলযোগ সৃষ্টিই তার উদ্দেশ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নিরাপদে সরিয়ে দিলেও, দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের অনিরাপদ অবস্থায় রেখে গেছেন। এমনকি নিজ দলের কর্মীদের মার খাওয়ানোর পরিকল্পনা করে দেশে আলোচনার ইস্যু তৈরির চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে।
পরিকল্পিত অডিও বার্তা এবং প্ররোচনামূলক কার্যক্রম
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অডিও বার্তা প্রকাশ করে কর্মীদের চট করে দেশে ফিরে আসার নির্দেশনা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার কথায় বারবার ‘হুট করে’, ‘চট করে’ জাতীয় শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক কৌশলের প্রতিচ্ছবি বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন। তিনি কখনো অবাস্তব কর্মসূচি দিয়ে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলছেন, আবার কখনো সামাজিক মাধ্যমে গান-কবিতা ছড়াতে বলছেন।
লজ্জাহীনতা ও অনুশোচনার অভাব
শেখ হাসিনা এখনও পর্যন্ত নিজের কাজের জন্য অনুশোচনা বা দুঃখপ্রকাশ করেননি। ছাত্রদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার, ব্যাংক লুট—এই সব গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি নির্লজ্জভাবে নিজেকে রাজনৈতিক মাঠে টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিল্লিতে আশ্রয় এবং নিরাপত্তা
ভারতের দিল্লি (Delhi) শহরের লাজপত নগর (Lajpat Nagar) এলাকায় শেখ হাসিনার থাকার কথা জানা গেলেও ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তার অবস্থান ‘জেড প্লাস’ পর্যায়ের নিরাপত্তার মধ্যে থাকলেও সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গোপনীয়তার ওপর।
ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, এ অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে জন্য দিল্লি সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, যা দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ হচ্ছে।
পরিণতি ও প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্ব
লেখক মনে করেন, আবেগতাড়িত কর্মীদের মাঠে নামিয়ে শেখ হাসিনা আবারও আলোচনায় আসতে চাইছেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের কাছে তার জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো: “আপনি পালালেন কেন? আমাদের কেন বিপদে ফেললেন?”