বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও জনমতের চাপে জেনারেল ওয়াকারের অবস্থান পরিবর্তন
দুই হাজার মানুষের লাশ ফেলানোর ঘটনায় চাপের মুখে পড়ে অবশেষে জনতার দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার (General Waqar)। সূত্র জানায়, জুনিয়র কর্মকর্তাদের চাপ ও নিরাপত্তার শঙ্কায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। তবে, তার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
হাসিনাকে ‘সেইফ এক্সিট’ এবং হত্যাকারীদের রক্ষা
সূত্র মতে, প্রথম ধাপে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) একটি ‘সেইফ এক্সিট’ দেওয়া হয়। এরপর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রায় ৬৫০ জনকে ক্যান্টনমেন্টে (Cantonment) আশ্রয় দিয়ে নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের কমিশন ও দায়
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পুরো হত্যাকাণ্ডের দায় কেবল বিডিআরের (BDR) উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আশ্রয়
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে যেসব সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়, তাদের ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয় বলে জানা যায়। একইসাথে, গুম ও খুনে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশে পালাতে সহায়তা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি এবং বিবৃতি
ড. ইউনুসকে (Dr. Yunus) ‘প্রধান উপদেষ্টা’ বলে সম্বোধন করা হয়। পাশাপাশি, সরকারকে পাশ কাটিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের দাবির বিরুদ্ধে সরাসরি বিবৃতি দেওয়া হয়।
আয়নাঘর ইস্যু এবং প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ
সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটে যখন আয়নাঘর পরিদর্শনের জন্য ড. ইউনুসকে বাধা দেওয়া হয়। সব আলামত নষ্ট করার পরই সেনাপ্রধান বুকে পাথর বেঁধে সেখানে পরিদর্শনে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে, জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত সেনাপ্রধানের (Army Chief) অপসারণের দাবি জোরালো হচ্ছে।