যারা একসময় আইন প্রণেতা ছিলেন, আজ তারাই আইনের কাঠগড়ায়

এক সময় যারা দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় ছিলেন, আজ তারাই দাঁড়িয়ে আছেন আদালতের কাঠগড়ায়। সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন চলছে বিচার প্রক্রিয়া। একসময় যারা আইনের রূপকার ছিলেন, তারাই আজ সেই আইনের সামনে আসামি হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক এর বিশ্লেষণধর্মী এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক সময়ের ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদদের পতনের চিত্র। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক হিসেবে যাদের কলমের খোঁচায় গড়ে উঠেছিল আইন, আজ তারা সেই আইনের হাতেই বিচারাধীন। ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (Anisul Huq), সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু (Amir Hossain Amu), ড. আব্দুর রাজ্জাক (Abdur Razzak), কামরুল ইসলাম (Qamrul Islam), মুহাম্মদ ফারুক খান (Faruk Khan), দীপু মনি (Dipu Moni), গোলাম দস্তগীর গাজী (Golam Dastagir Gazi), শাজাহান খান (Shajahan Khan), উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান (Salman F Rahman) ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (Tawfiq-e-Elahi Chowdhury), রাশেদ খান মেনন (Rashed Khan Menon), হাসানুল হক ইনু (Hasanul Haq Inu), এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (Zunaid Ahmed Palak) সহ আরও অনেককেই।

এক সময় যাদের সম্মানার্থে দাঁড়াতেন মানুষ, আজ তাদের ঠাঁই হয়েছে আদালতের গ্যালারিতে—হ্যান্ডকড়া ও পাহারায়। এ যেন ক্ষমতার অপব্যবহারের জ্বলন্ত প্রমাণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি আমাদের ইতিহাসের আয়না, যেখানে দেখা যায় ক্ষমতার অহংকার আর অন্যায়ের ফলাফল একদিন ধরা পড়ে।

এই ১৯ জন সাবেক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে বিচার চলছে। প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তি অনিবার্য। এখন প্রশ্ন, এই বিচার কি কেবল প্রতীকী? নাকি এটি হয়ে উঠবে রাজনৈতিক জবাবদিহির এক যুগান্তকারী উদাহরণ?

গণতন্ত্রের সৌন্দর্য তখনই খুঁজে পাওয়া যায়, যখন আইনের সামনে সবাই সমান। এই বিচার ব্যবস্থায় যদি নিরপেক্ষতা বজায় থাকে, তবে তা ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদদের জন্য হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।