বিচারের আগেই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের কথা কেমন করে আসে, বুঝি না: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) (Bangladesh-Nationalist-Party)–এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার না করে কীভাবে তাদের পুনর্বাসনের কথা আসে, সেটাই আমার বোধগম্য নয়।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের মধ্যে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কোনো খবর নেই। বরং এটা পরিষ্কার যে, যারা এই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা পত্রিকায় দেখলাম, নতুন যে দলটি হয়েছে তাদের একজন এই ইস্যুতে ইতোমধ্যে পদত্যাগও করেছেন। অর্থাৎ জনগণের মধ্যে স্পষ্ট একটা বার্তা পৌঁছে গেছে—আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নই আসে না, অন্তত বিচার না হওয়া পর্যন্ত।’

বিএনপি মহাসচিব জানান, দলটির অবস্থান সুস্পষ্ট—কে রাজনীতি করবে আর কে করবে না, সেটার সিদ্ধান্ত জনগণের। তবে যারা ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, গুম-খুন-দুর্নীতি চালিয়েছে, তাদের জন্য কোনো রাজনৈতিক ছাড় থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।’

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, নিষিদ্ধ হোক বা না হোক, এ দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল থাকবে আর কোন দল থাকবে না। তবে অপরাধ করলে, তার বিচার হবেই।’