জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)-র যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সম্প্রতি এক টকশোতে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও ব্যবস্থাগত সংস্কার নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “যিনি সংসদ নেতা, তিনিই প্রধানমন্ত্রী, তিনিই দলের প্রধান—এই কেন্দ্রিকতা আসলে জনগণ চায় কি না, সেটা জনগণকে জিজ্ঞেস করে দেখা উচিত।”
ইউটোপিয়া নয়, বাস্তবসম্মত সংস্কার চায় এনসিপি
সারোয়ার তুষার বলেন, “আমাদের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো ইউটোপিয়ার মতো শোনালেও বাস্তবসম্মত এবং অনেক দেশেই প্রচলিত। বিশেষ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রগুলোতে এ রকম কাঠামো বিদ্যমান।” তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এমন একটি ডিস্টোপিয়ায় পরিণত হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্র, সরকার, দল ও প্রশাসনের মধ্যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সীমারেখা নেই।
ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণই গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে
তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেখানে একটি দল ক্ষমতায় গেলে তার প্রধানই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন। এতে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবর্তন আনতে হলে রাষ্ট্র, সরকার ও দলের মধ্যে স্পষ্ট সেপারেশন আনতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করার প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করা এবং একজন ব্যক্তি যেন আজীবন এই পদে থাকতে না পারেন, সেই প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার বলেন, “ডেমোক্রেসি মানে শুধু নির্বাচন নয়। সংস্কার চাইলে জনগণের মতামত আলাদাভাবে নিতে হবে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সেই সুযোগ দেয় না। বরং সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতাকেই সীমিত করে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চাই, তাহলে প্রশাসন, রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ইউরোপীয় মানের স্পষ্ট ভেদরেখা প্রয়োজন। সময়ের দাবি এখন এই সংস্কার।”