আমার বাংলাদেশ পার্টি (AB Party)-এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “রাষ্ট্র যখন পাপ করে, তখন রক্ত দিয়েই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়।” মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইনসাফ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “প্রত্যেক মানুষের অন্তরে ইনসাফের বীজ আছে। কিন্তু রাষ্ট্র যখন ইনসাফ হাইজ্যাক করে, তখন চিন্তার সুনামি, লড়াইয়ের সুনামি তৈরি হয়।” তিনি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে এমন এক সুনামির ফল বলেও অভিহিত করেন।
ঐতিহাসিক পর্যালোচনা
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ শাসক থেকে শুরু করে শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত কেউই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেননি। বরং ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ এর নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করে রাষ্ট্রকে জমিদারিতে রূপান্তর করেছেন, আর নাগরিকরা পরিণত হয়েছেন প্রজায়।”
ফ্যাসিবাদের বিচার ও নতুন কাঠামো
ব্যারিস্টার ফুয়াদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ঘুম থেকে উঠে শেখ হাসিনাকে না দেখা—এটাই আজকের শান্তি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদের বিচার না হওয়া প্রপাগান্ডার অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।” তিনি বলেন, “শুধু ২০২৪ নয়, অতীতের প্রতিটি প্রজন্মের সংগ্রামের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
বক্তৃতায় আরও যা উঠে আসে
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইচ উদ্দিন বলেন, “প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা পর্যন্ত বিচারহীনতার শিকার হয়েছেন। বিচারব্যবস্থা ছিল একজন ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত।”
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন বলেন, “এক সময় আমাদের অর্থনীতি পৃথিবীর মোট জিডিপির ১২.৫% ছিল। এখনো আমরা ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া উপনিবেশিক কাঠামো থেকে মুক্ত হতে পারিনি।”
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাস্টিস ফর জুলাই, জবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক মো. সজিবুর রহমান। সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-এর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।