পারভেজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Primeasia University)-এর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত এক আসামি, হৃদয় মিয়াজি, গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুমিল্লা থেকে হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মামলার পটভূমি

গত রোববার রাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে, যাদের নাম এজাহারে উল্লেখ ছিল না। তারা হলেন—আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি।

মামলার এজাহার অনুসারে, পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গলিতে সিঙ্গাড়া খেতে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন, পারভেজ তাদের দেখে ‘হাসাহাসি’ করেছেন। এরপর ওই ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের ডেকে আনে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়, পরবর্তীতে মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারী হাজারীপাড়া এলাকার কিছু বহিরাগতকে নিয়ে পারভেজের ওপর হামলা চালায়।

নির্মম হত্যা

হামলার সময় পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দিকে দৌড়ানোর চেষ্টা করেন। সেখানে তাকে বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় পড়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

মামলা ও আসামির তালিকা

পারভেজের চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন—মেহরাজ ইসলাম, আবুজর গিফারী পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এছাড়া অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোবহান নিয়াজ তুষার ও হৃদয় মিয়াজির নাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এর বনানী ইউনিটের নেতৃত্বে থাকার বিষয়টি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিমান্ড ও তদন্ত

এজাহারে নাম না থাকা তিন আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তদন্ত অব্যাহত থাকবে।