শেখ হাসিনার আগেই জামায়াত, জিয়া ও খালেদার বিচার দাবি শাজাহান খানের

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা-র এক হত্যা মামলায় আদালতে রিমান্ড শুনানিতে সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান দাবি করেছেন, শেখ হাসিনার আগেই জামায়াতে ইসলামী, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং এইচ এম এরশাদ-এর বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “একাত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার দায়ে জামায়াত এবং পরে ক্ষমতায় থাকা বিভিন্ন শাসকদের যেসব অপরাধ রয়েছে, তা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগের চেয়েও গুরুতর।”

আদালতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান-এর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেন শাজাহান খান। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শাজাহান খান, আতিকুল ইসলাম (সাবেক মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত-এর ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

আদালতে দাঁড়িয়ে শাজাহান খান বলেন, “আমার হার্টে পাঁচটি ব্লক রয়েছে। রিমান্ডের আগেরবার আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হয়, তাহলে জেলগেটে হোক।”

সৈকতের বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত। তিনি জানান, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি।” এ সময় আইনজীবীরা হৈ-হুল্লোড় শুরু করলে আদালত পরিস্থিতি শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন।

আদালতের রায়

রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত শাজাহান খানের একদিন এবং আতিকুল ইসলাম ও সৈকতের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এজলাসের বাইরে ফের মন্তব্য

রিমান্ড শেষে এজলাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় শাজাহান খান বলেন, “যারা একাত্তরে গণহত্যা করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তিন হাজার সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে— তাদের বিচার না করে শেখ হাসিনার বিচার কীভাবে হয়?”

জুলাইয়ের গণআন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. আরিফ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এই তিনজনসহ ২৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত আরিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।