রোহিঙ্গা সংকটে পাশে থাকবে গাম্বিয়া, জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নেবে ১৭০ দেশ: প্রেস সচিব

রোহিঙ্গা সংকট পুনরায় আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ([Muhammad Yunus])। তার নেতৃত্বে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যার ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অন্তত ১৭০টি দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ([Shafiqul Alam]) জানান, “রোহিঙ্গা সংকটটি গ্লোবাল আলোচনার মানচিত্র থেকে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা সেটিকে আবার সামনে নিয়ে আসতে পেরেছি।”

রোহিঙ্গা ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণ

সম্প্রতি দোহায় আয়োজিত একটি ক্লোজডোর বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাতার ফাউন্ডেশনের ([Qatar Foundation]) সিইও শাইখা হিন্দ, গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার, রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান ([Khalilur Rahman]), একজন জাপানি বিশেষজ্ঞসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিনিধি।

বৈঠকে গাম্বিয়া আশ্বস্ত করেছে যে, তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গাম্বিয়া ([Gambia]) আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করেছিল।

জাতিসংঘ সম্মেলন ও প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি

জাতিসংঘের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিত্ব আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, সম্প্রতি ভিমস্টেক সম্মেলনে ([BIMSTEC]) বাংলাদেশের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা হয়। সেখানে মিয়ানমার সরকার জানায়, তারা ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে—যাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাতারের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

কাতার ফাউন্ডেশন বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বন রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এলপিজি সরবরাহ করছে। রোহিঙ্গারা যাতে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার না করে রান্না করতে পারে—এজন্য এই সহায়তা আরও বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজ কাতারের ([Qatar]) ডিফেন্স মিনিস্টার, কমার্স মিনিস্টার ও ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টারসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।