পাঁচতলা বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও টিসিবি ([Trading Corporation of Bangladesh])-র ভর্তুকিপ্রাপ্ত ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ([Sheikh Bashir Uddin])। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে ‘টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
টিসিবিতে দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগ
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আগস্ট বিপ্লবের আগে টিসিবি দুর্বৃত্তদের দখলে ছিল। এক কোটি ফ্যামিলির জন্য নির্ধারিত ফ্যামিলি কার্ড ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। এমনকি অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ধনী পরিবার এই কার্ডের সুবিধা নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারী বাদ দিয়েছি। এখন শুধুমাত্র প্রকৃত নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পাবে।”
দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থার প্রভাব
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, টিসিবি বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য কেনাকাটা করে, যার মধ্যে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় সরকারকে। তিনি বলেন, “এই দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থার ফলে অনেক দুর্নীতিবাজ চক্র তৈরি হয়েছে। আমরা এখন সেই ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চাই।”
সংলাপের অন্যান্য অংশ
‘কোটি মানুষের পাশে’ শীর্ষক এই সংলাপে টিসিবির পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ, আবেদ আলী ও যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ। সমাপনী বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।