সিনেমার নোংরা রাজনীতির কারণে ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে: আমিন খান

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র শিল্পে চলা নোংরা রাজনীতির কারণেই তার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমার জীবন সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো হতে পারত, যদি মানসিকভাবে দুর্বল হতাম। আত্মহত্যার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমি লড়ে গেছি।”

শুরুটা ছিল প্রতিশ্রুতিশীল

১৯৯০ সালে খুলনা থেকে ঢাকায় এসে এফডিসি-তে আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন আমিন খান। প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে নির্বাচিত হয়েও সিনেমার পলিটিকসের কারণে টানা দুই বছর কোনো ছবিতে কাজ করতে পারেননি।

তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ‘অবুঝ দুটি মন’। এরপর ‘দুনিয়ার বাদশা’ ছবির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু শিল্পী সমিতির সিন্ডিকেট এবং নেতিবাচক প্রচারণা তার জন্য হয়ে ওঠে বড় বাধা। একপর্যায়ে দীর্ঘ ১০ বছর সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করতে পারেননি তিনি।

পারিবারিক সাপোর্টই বাঁচিয়েছে

আমিন খান জানান, “পরিবার পাশে ছিল বলেই হয়তো আত্মহত্যা করিনি। শুধু মুখ বুজে সহ্য করেছি।” তিনি আরও বলেন, “খুলনায় ঈদের সময় বাড়ি যেতেও লজ্জা পেতাম। কারণ তখনও একটি ছবির কাজ শুরু হয়নি।”

তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিক আহমেদ কামরুল মিজান তাকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন ‘অবুঝ দুটি মন’ ছবিতে। তারাই তাকে নতুন নাম দেন ‘আমিন খান’, যদিও তার প্রকৃত নাম ছিল আমিনুল ইসলাম খান।

এখন কর্মজীবনে ব্যস্ত

বর্তমানে আমিন খান ঢাকার উত্তরায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। স্ত্রী স্নিগ্ধা খান, দুই ছেলে রাইয়ান খান ও মাঈন খানকে নিয়ে সংসার জীবন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

ভাই বিতর্কে বিব্রত

সম্প্রতি সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খানকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কেও পড়েছেন তিনি। কারণ অনেকেই ভুল করে ধরে নিয়েছেন যে, দুবাইয়ের ওই আরাভ খান তার ভাই। আমিন খান স্পষ্ট করে বলেন, “আমার কোনো ভাইয়ের নাম আরাভ খান নয়।”

ফেরার ইচ্ছা

তিনি বলেন, “নায়ক আমিন খান হয়ে বাঁচতে চাই। চলচ্চিত্র আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছে, সেই জীবন আমি সবসময়ই মিস করি।”