চিত্রনায়িকা ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন-এর বিরুদ্ধে সৎ মাকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে ঢাকার একটি আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার বাদী ও শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম অভিযোগ করেছেন, শাওন তার বাবাকে বিয়ের কারণে তাকে ‘শায়েস্তা’ করতে চেয়েছিলেন।
ঘটনা ও মামলার বিবরণ
২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী বিয়ে করেন নিশি ইসলাম নামের এক নারীকে। এ বিয়ে নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে, ৪ মার্চ রাতে শাওন, তার দুই বোন এবং পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে নিশিকে মারধর করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শাওন তার প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের সহায়তায় নিশির বিরুদ্ধে বাড্ডা থানা-য় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে তাকে রিমান্ড-এ এনে নির্যাতন করা হয় এবং ৬১ দিন কারাভোগ করতে হয়। এমনকি তাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়।
আসামির তালিকা
মামলায় আসামি করা হয়েছে মোট ১২ জনকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন:
– শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী
– মেহের আফরোজ শাওন
– বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির
– সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ
– এডিসি নাজমুল ইসলাম
– পুলিশ কর্মকর্তারা সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাহ আলম
– মামলার অন্যান্য আসামি সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন এবং মো. আলীর ভাগনে মোখলেছুর রহমান মিল্টন
পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেও বাকিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বাদীর বক্তব্য
নিশি ইসলাম বলেন, “তারা মিটমাট করার কথা বলে হুমকি দিয়েছে। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম পিন্টু বলেন, “শাওনের ক্ষমতার অপব্যবহারে নিশি ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।”
প্রতিক্রিয়া
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন জসিম দাবি করেন, তার মক্কেল পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরা থেকে কিছু করেননি, বরং উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে কাজ করেছেন।
মামলার বিষয়ে শাওনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।