বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক শারমিন চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির নেতা রাশেক রহমান বলেন, অর্থ পাচার ছাড়া বিলাসী জীবনযাপন সম্ভব নয়।
সাক্ষাৎকারে আলোচিত বিষয়
সম্প্রতি ‘পালস অফ পলিটিক্স’ নামের অনলাইন অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও সাংবাদিক শারমিন চৌধুরী প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলেন— “কলকাতা, লন্ডন ও নিউইয়র্কে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে এত বিলাসী জীবনযাপন করছেন?”
প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনটিতে গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিদেশে পলাতক থাকা বেশ কিছু নেতার ছবি ও তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
রাশেক রহমানের বক্তব্য
প্রশ্নের জবাবে রাশেক রহমান বলেন, “আমি তো দেখি নাই, আমি জানি না।”
তিনি আরও বলেন, “নেতাকর্মীদের ধারণা আছে যে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তবে এটা এখনো প্রমাণিত নয়।”
রাশেক রহমান অবশ্য বলেন, “বিদেশে গিয়ে বিলাসী জীবনযাপন না করেও জীবন চলা সম্ভব। কিন্তু অর্থ পাচার ছাড়া বিলাসী জীবনযাপন সম্ভব না।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত তিনি পরোক্ষভাবে অর্থ পাচারের সম্ভাবনাকেই ইঙ্গিত করেছেন।
প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ
প্রথম আলো প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া কিছু নেতার জীবনযাত্রা নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি এবং বিদেশি রেস্তোরাঁয় নিয়মিত যাতায়াতের ব্যয় কোথা থেকে আসছে—সেই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
সাংবাদিক শারমিনের পর্যবেক্ষণ
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে শারমিন চৌধুরী বলেন, “জনগণের কাছেই প্রশ্ন জাগে, যদি প্রমাণ না-ও থাকে, তাহলে কি এমন জীবনযাপন স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য?”
রাশেক রহমান তার বক্তব্যে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করলেও অর্থ পাচার ছাড়া বিলাসী জীবনযাপন সম্ভব নয়—এই সত্যটি সামনে আনেন।