‘হানি ট্র্যাপ’ মামলায় মডেল মেঘনা আলমের জামিন আবেদন নাকচ

বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে দায়ের করা ধানমন্ডি থানার মামলায় মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম-এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

মেঘনার পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও সাদমান সাকিব। তারা আদালতকে জানান, মেঘনার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এসআই আবুল বাশার। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করেন।

গত ৯ এপ্রিল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মেঘনাকে আটক করে পুলিশ। আটকের আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তার বাসায় পুলিশ পরিচয়ধারীরা দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়।

এই প্রক্রিয়ায় তাকে আটক করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে, যার প্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল ডিএমপির ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক-কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে, ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া ‘হানি ট্র্যাপ’ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও সহযোগী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য, যারা রূপবতী নারীদের দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করতেন।

হাইকোর্ট এই মামলার প্রেক্ষিতে একটি রুল জারি করে জানতে চেয়েছে, কেন এই আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন মেঘনাকে মুক্তি দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে তাকে যেভাবে বাসা থেকে আটক করা হয়েছে, তা কেন অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে না—তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।