প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)–এর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে যোগ দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন তিনি।
ভ্যাটিকানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভ্যর্থনা গ্রহণের পর ড. ইউনূস পোপের কফিনের সামনে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর তিনি দুই ঘণ্টাব্যাপী শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
গত সোমবার সকালে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ ফ্রান্সিস, তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি এক যুগের বেশি সময় ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বৈশ্বিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ড. ইউনূস তখন কাতারে একটি আর্থনা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছিলেন। পোপের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তিনি দোহা থেকে সরাসরি ইতালিতে রওনা দেন। প্রেস উইং জানায়, প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস ড. ইউনূস–এর কর্মযজ্ঞের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তাঁর ‘তিন শূন্য’ তত্ত্বের (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য কার্বন নিঃসরণ) প্রশংসা করতেন।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে ও পরে ড. ইউনূস জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres), জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ (Olaf Scholz), ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন (Ursula von der Leyen), সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও আশপাশের এলাকায় জমায়েত হয়েছিলেন।
ড. ইউনূস আজ শনিবার সকালে ইতালির লিওনার্দো দা ভিঞ্চি রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এবং সোমবার ভোরে তার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।