আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে শহিদ পরিবারের সিদ্ধান্তে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

শহিদ পরিবারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) (Amar Bangladesh Party) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (Barrister Asaduzzaman Fuad) বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কোনো সুশীল উপদেষ্টা, শাশুড়ি কিংবা দিল্লী (Delhi)র মতামত বিবেচনা করা হবে না। সিদ্ধান্ত নেবেন ১৪শ শহিদ পরিবার।

গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী (Capital)র শাহবাগ (Shahbagh) এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চ (Inqilab Manch) আয়োজিত ‘জুলাই গণহত্যা, পিলখানা ও শাপলা চত্বর হত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শহীদি সমাবেশ’-এ এসব কথা বলেন তিনি।

গণতদন্তের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। গণঅভ্যুত্থনের পক্ষে থাকা শক্তিগুলো গণ তদন্ত কমিশন (People’s Investigation Commission)-এ উন্মুক্ত শুনানিতে অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে।”

তিনি যোগ করেন, “এই সিদ্ধান্তের আওতায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাতীয় পার্টি) (Jatiya Party) এবং ১৪ দল (14 Party Alliance)র ভারতীয় গোলামদের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।”

শহীদদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ

ফুয়াদ অভিযোগ করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের ৮ মাস পার হলেও জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। রায়ের বাজারের গণকবর পরিদর্শনেও উপদেষ্টাদের অনীহা লক্ষণীয়। অথচ তারা ‘৭১-এর চেতনা বিক্রি ও ১৪ ডিসেম্বরের শহিদদের কবর জিয়ারতে মুখে ফেনা তুলেছেন।”

রায়ের বাজার (Rayer Bazar) গণকবরের শহিদদের স্মরণ করে ফুয়াদ বলেন, “এই শহিদরা না থাকলে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস (Professor Muhammad Yunus) আজ জেলে থাকতেন।”

বিকল্প সমাধান প্রস্তাব

ফুয়াদ আরও বলেন, “গণ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। কয়েকটি মডেল প্রস্তাব করেছি:

  1. নাৎসি মডেলে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করা।
  2. অপরাধ অনুযায়ী বিচার বা তওবা কমিশনের মাধ্যমে শাস্তি ও ক্ষমা আলাদা করা।
  3. তিনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।
  4. প্রয়োজনে গণভোটের মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ আমাদের তিনটি নির্বাচনে বঞ্চিত করেছে, তাই ন্যায্যতার ভিত্তিতে এই দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।”