লোডশেডিং অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ([Muhammad-Fauzul-Kabir-Khan]) বলেছেন, বর্তমানে লোডশেডিং হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে খুলনা অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা চলছে। শহর এবং গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) ([National-Load-Dispatch-Center]) ও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো থেকে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। অনেকে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা।
বৈঠকে খুলনা অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণও তুলে ধরেন তিনি। জানা যায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল লাইনের তার একত্র হওয়ায় সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দুই হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়। তবে বর্তমানে সব কেন্দ্র পুনরায় চালু হয়েছে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও জানান, ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম চালুর জন্য ঈশ্বরদী ও ভুলতায় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে।
ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাড়াদানের সময় কমিয়ে আনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো ত্রুটির ঘটনায় ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে সাড়া দিতে হবে। এজন্য বিদ্যুৎ লাইনের এলাকা ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও ফাওজুল কবির খান মেট্রোরেলের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন এবং অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করেছেন।