জুলাই সনদ তৈরির পরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ([Muhammad Yunus]) জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের পরেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘রাই নিউজ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “টানা ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পর একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা প্রতিটি দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি ঐকমত্যের রূপরেখা তৈরি করছি—যেটি ‘জুলাই সনদ’ নামে প্রকাশিত হবে। সেই সনদের ভিত্তিতেই ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬ এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

সাক্ষাৎকারে তিনি আওয়ামী লীগ ([Awami League])-এর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলেন, “হাসিনা সরকার প্রায় দেড় হাজার মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তখন ছাত্রদের আহ্বানে আমি দায়িত্ব নিই। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র ও সমাজকে পুনর্গঠন করা, যা আমরা ধাপে ধাপে করে যাচ্ছি।”

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পোপ ছিলেন শান্তির প্রতীক। রোহিঙ্গা সংকটে তাঁর অবস্থান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমার তিন শূন্য তত্ত্ব—শূন্য দরিদ্রতা, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ—বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। আমরা বাংলাদেশকে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

এই সাক্ষাৎকারটি দেওয়া হয় ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সময়। যেখানে আন্তর্জাতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং বিশ্ব রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।