বুয়েটের ডিজাইনে ঢাকাসহ সারা দেশে চলবে নতুন ব্যাটারি রিকশা, থাকবে নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ

রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশে শিগগিরই চালু হচ্ছে বুয়েট (BUET)-এর তৈরি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের নতুন ব্যাটারি রিকশা (ই-রিকশা)। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (Local Government Ministry) এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আইন সংশোধনসহ সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

কীভাবে বাস্তবায়ন হবে পরিকল্পনা?

নতুন রিকশাগুলো চালু করতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ সংশোধন করা হচ্ছে। এর আওতায় চালক নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, রিকশার কাঠামো নির্ধারণ এবং জরিমানার বিধান যুক্ত করা হবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ধাপে ধাপে সারা দেশে সম্প্রসারিত হবে। প্রতিটি চালক প্রশিক্ষণ পাস করে শুধুমাত্র একটি রিকশা চালানোর অনুমতি পাবেন। রিকশাগুলোর জন্য থাকবে নির্ধারিত রং, নম্বর ও এলাকার ভিত্তিতে সীমাবদ্ধতা।

কী থাকছে নতুন মডেলে?

বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের একটি দল নতুন এই ব্যাটারি রিকশার নকশা করেছে। এতে ১৬টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারা প্রচলিত ১২ ধরনের ইজিবাইকের ঝুঁকি চিহ্নিত করেছেন। প্রোটোটাইপ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতকারকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

লাইসেন্স, ঋণ ও রেজিস্ট্রেশন

এই রিকশার নিবন্ধন ও লাইসেন্স দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (DNCC) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (DSCC)। বিআরটিএ (BRTA) এর পরিবর্তে এবার ব্যাটারি রিকশার রেজিস্ট্রেশন দেবে সিটি করপোরেশন। রিকশা কেনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক (Bangladesh Bank) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) (MRA) ঋণ দেবে।

বক্তব্য ও সভার অগ্রগতি

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, “সুনির্দিষ্ট নকশায় তৈরি রিকশা অনুমোদন পেলেই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। পাস করা চালকদের এনআইডি অনুযায়ী একটি করে লাইসেন্স দেওয়া হবে।”

এছাড়া গুলশানে ডিএনসিসির সভায় জানানো হয়, শহরের অভ্যন্তরের সড়কে নতুন রিকশা চলবে, মূল সড়কে নয়। একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে স্ট্যান্ডার্ড মডেল ও নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে।

তথ্য সংগ্রহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

প্রতিটি রিকশা ও চালকের তথ্য সংরক্ষণে কাজ করছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিআরটিএ, এটুআই এবং জন্মনিবন্ধন দপ্তর। সমন্বিত ফরম তৈরি করে তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে শিগগিরই।