আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য ও সংযত হবে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (Dr. Salehuddin Ahmed) বলেছেন, এবারের বাজেটে ‘প্রত্যাশার ফুলঝুড়ি’ থাকবে না। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই (FBCCI) আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
কর অব্যাহতি সীমিত করা হবে
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “রেয়াত ও কর অব্যাহতির যুগ শেষ। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে, সরকার চালাতে হবে, ব্যবসায়ীদেরও সহায়তা করতে হবে।” তিনি জানান, কর প্রদানকে শুধু ব্যয় হিসেবে না দেখে তার সুফল হিসেবেও বিবেচনা করা উচিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক সেবার জন্য কর দেওয়া আবশ্যক।
বৈশ্বিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা ও বিদেশি দৃষ্টিভঙ্গি
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছি। বাজেটে সহানুভূতিশীল হওয়ার চেষ্টা থাকবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো, সমস্যা সৃষ্টি হয় দেশের কিছু মানুষের নেতিবাচক প্রচারে।” তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক (World Bank) ও আইএমএফ (IMF)–এর সঙ্গে আলোচনা চলমান এবং তারা বাংলাদেশের পাশে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা
তিনি বলেন, “ট্রাম্প সরকার (Trump Administration) আমাদের সময় দিয়েছে। আমরা আরও সময় চাইবো। কিন্তু চটানো যাবে না। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে পথ খুঁজে নেওয়া হবে।”
রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ ও বাজেট বাস্তবায়ন
এনবিআর (NBR) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, বাজেটে অপারেশনাল সমস্যার সমাধান ও ডিজিটালাইজেশনে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এবার বাজেট হবে লক্ষ্যভিত্তিক ও ন্যায়সংগত।
বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাব
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বাজেটে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৪.৫ লাখ টাকা এবং নারী ও ৬৫ ঊর্ধ্বদের জন্য ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন।
বিটিএমএ (BTMA) সভাপতি শওকত আজিজ বলেন, এনবিআরের নিয়ন্ত্রণে আমদানি ছাড়পত্র জটিল হয়েছে। তিনি পোশাক খাতের মতো টেক্সটাইল খাতের ওপরও সমহারে কর আরোপের প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডা (BIDA) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।