প্রথম আলো (Prothom Alo) পত্রিকায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছাবার্তার একটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করার পর থেকেই ভয়ভীতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন মামলার আবেদনকারী নজরুল ইসলাম (Nazrul Islam)। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মামলার পর থেকে গোয়েন্দাদের মতো লোকজন তার বাসার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে এবং তার ও পরিবারের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা
মামলার আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে গত সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের (Metropolitan Magistrate Md. Saifuzzaman) আদালতে। মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রকাশক ও গ্রাফিক ডিজাইনারকে আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং আগামী রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
ঈদের কার্টুন নিয়ে বিতর্ক
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ প্রথম আলোর প্রথম পাতার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ কলামে প্রকাশিত একটি কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করা হয়, যা ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসব ঈদুল ফিতরের পবিত্রতাকে চরমভাবে অপমান করেছে। বাদীর অভিযোগ, কুকুরকে মুসলমানদের কাছে অপছন্দনীয় প্রাণী হিসেবে চিত্রায়ন করে ঈদের আনন্দকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
নজরুল ইসলাম দাবি করেন, প্রথম আলো পূর্বেও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ও জঙ্গি নাটক সাজাতে ভূমিকা রেখেছে। এই কার্টুনও ছিল একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর দেশে যখন স্থিতিশীলতা ফিরেছিল, তখনই প্রথম আলো এই কার্টুন প্রকাশ করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে।”
শান্তির স্বার্থে মামলা
নজরুল ইসলাম বলেন, “আমি ভীত নই। আমি দেশের শান্তির জন্যই এই মামলা করেছি।” তিনি প্রথম আলোর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন।