আওয়ামী লীগকে “গণহত্যাকারী দল” হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর মিরপুর (Mirpur) এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি (National Citizens’ Party-NCP)। এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah)।
২ মে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কালশী পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেন। তারা জানান, আগামী ২ মে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম (Baitul Mukarram) জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে “আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণ” দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা।
সাতটি অভিযোগ এনেছে এনসিপি
এ উপলক্ষে বিতরণ করা লিফলেটে এনসিপি আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের সাতটি “গুরুতর অপরাধ” তুলে ধরেছে:
- ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড
- গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজারো নাগরিক হত্যা
- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের “ভুয়া নির্বাচন” এবং ভোটাধিকার হরণ
- ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে “হত্যাযজ্ঞ”
- দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচারের অভিযোগ
- ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনে “নির্মম হত্যাকাণ্ড”
- ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় “গণহত্যা”
চার দফা দাবি জানিয়েছে এনসিপি
প্রচারে এনসিপি চারটি দফা দাবি তুলে ধরেছে:
- প্রতিটি অভিযোগের তদন্তে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও আওয়ামী লীগের বিচার
- নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল
- বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্টদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও অযোগ্য ঘোষণা
এনসিপি নেতাদের মতে, নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ যেন কোনোভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে, সে বিষয়ে তারা সজাগ থাকবে।