বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট (Bangladesh Sanatani Jagoron Jote)–এর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (Chinmoy Krishna Das Brahmachari)–এর জামিন নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন ইনকিলাব মঞ্চ (Inqilab Moncho)–এর মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি (Sharif Osman Hadi)। তার দাবি, জাতীয় পতাকা অবমাননার মতো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি জামিন পেতে পারেন না, এবং এই জামিনের প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।
হাইকোর্টে জামিন, পরে স্থগিত চেম্বার আদালতে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) চিন্ময় কৃষ্ণ দাস হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে। তবে সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই জামিন স্থগিত করেন।
ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ শরিফ ওসমান হাদির
চিন্ময়ের জামিন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের ফেসবুকে শরিফ ওসমান হাদি লেখেন, “সন্ত্রাসী চিন্ময়ের জামিন হইছিলো কিভাবে, আগে সেই উত্তর চাই আমরা।” তার এই মন্তব্যে সাড়া দিয়ে শিহান মাহবুব নামে একজন মন্তব্য করেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের জনৈক উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করা হোক।”
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্টতা
২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম (Chattogram) শহরে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশের নেতৃত্ব দেন চিন্ময়। ওই সমাবেশের পর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর রংপুরে (Rangpur) তার নেতৃত্বে আরও একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং ২৬ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় চিন্ময়ের
চিন্ময়ের জামিন আবেদন ঘিরেই ঘটে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা। ২৬ নভেম্বর একটি হামলায় নিহত হন আইনজীবী সাইফুল। তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।