আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে (Nayapaltan) বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টায় বড় আকারের শ্রমিক সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party – BNP)। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন, মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণে মুখর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা।
১২ দফা দাবিসহ বড় শো-ডাউনের লক্ষ্য
রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi), বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, “ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সমাবেশে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করবে।”
তিনি আরও জানান, দাবিগুলোর প্রচারে ইতিমধ্যে রাজধানীতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ চলছে। সমাবেশটি একটি বৃহৎ শো-ডাউনে রূপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন তারেক রহমান
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান (Shairul Kabir Khan) জানান, শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir), স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (Mirza Abbas), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (Goyeshwar Chandra Roy) ও নজরুল ইসলাম খান (Nazrul Islam Khan)।
অংশ নেবে শিল্পাঞ্চল ও আশপাশ জেলার নেতাকর্মীরা
ঢাকা মহানগর বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো সমাবেশ সফল করতে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে। বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীদের সময়মতো উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিল্পাঞ্চল ও আশপাশের জেলা থেকেও শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। দলীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সমাবেশটি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শ্রমিক জমায়েতে পরিণত হতে পারে।
মে দিবসে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও বার্তা
মে দিবস উপলক্ষে এক প্রেস বার্তায় তারেক রহমান দেশ-বিদেশে কর্মরত সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও সংগ্রামী সালাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “১৮৮৬ সালে শিকাগোর ‘হে মার্কেট’-এ ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী শ্রমিকদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম আইন সংস্কার, মজুরি কমিশন গঠন, বোনাস ব্যবস্থা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, পোশাক শ্রমিকদের চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন আর শ্রমিক অধিকার আদায়ে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তথাপি শ্রমিকরা এখনো বঞ্চিত ও অবহেলিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তারা দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।”
‘স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ’– আশাবাদ বিএনপির
বিএনপির দাবি, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এবারই প্রথম তারা স্বস্তির মধ্যে মে দিবস পালন করতে যাচ্ছে। তাই এবার শ্রমিকদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলটির নেতারা।