প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং (Chief Advisor’s Press Wing) ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ (BDR Rebellion) বিষয়ে আইনজীবী তানিয়া আমীর (Tania Amir)–এর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে। ৩০ এপ্রিল এক ফেসবুক বিবৃতিতে প্রেস উইং এ বক্তব্য জানায়।
তানিয়া আমীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
বিবৃতিতে বলা হয়, তানিয়া আমীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই করা হয়েছে।
তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম তুলে ধরল প্রেস উইং
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের বর্বরোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে:
-
স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন: ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমান (ALM Fazlur Rahman)। কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। প্রয়োজন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ (Moeen U Ahmed)-কেও জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
-
গণবিজ্ঞপ্তি ও তথ্য আহ্বান: ২০২৫ সালের ১৮ এপ্রিল কমিশন একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সাধারণ মানুষকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানায় এবং তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।
-
আইনি অগ্রগতি: ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সংশ্লিষ্ট মামলায় কয়েকশ’ সাবেক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পান। তবে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার এ জামিনের বিরোধিতা করে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানায়।
-
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সম্মান: সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে এবং পিলখানায় নিহত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে ‘শহীদ’ মর্যাদা দিয়েছে।
তানিয়া আমীরের রাজনৈতিক পটভূমি
প্রেস উইং দাবি করেছে, তানিয়া আমীর এবং তার পরিবার ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ও তার বাবা ২০২৩ সালে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন। তার বক্তব্যে কোনো নতুন তথ্য নেই বরং পুরোনো বিরোধী বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সরকার ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।