বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা নির্ভর করছে সামনের সাত মাসের ওপর—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam)। বৃহস্পতিবার সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, “আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টা বাংলাদেশকে (Bangladesh) গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থ করতেও পারে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা
প্রেস সচিব বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দর (Chattogram Port) ছয় গুণ বড় করার উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়েছে। সফল বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারত্ব অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই উদ্যোগ সফল হলে, তা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে—বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের বিশ্লেষণ
প্রেস সচিব বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতি এখন নতুন একটি বিন্যাসের দিকে যাচ্ছে। ব্রেটন উডস চুক্তি ও ডব্লিউটিও-নির্ভর পুরনো শৃঙ্খলা বিলুপ্তির পথে।” যুক্তরাষ্ট্র (United States) ও ইউরোপ (Europe)–কেন্দ্রিক বাজারমুখী রপ্তানি অর্থনীতিতে যারা সাফল্য পেয়েছে—জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, তারা এখন উদাহরণ। দক্ষিণ এশিয়া এ দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে আসার সম্ভাবনায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ বড় বাধা হতে পারে
তবে এ সম্ভাবনার পথে বড় বাধা হতে পারে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। শফিকুল আলম বলেন, “লজিস্টিক সক্ষমতা শিগগিরই পরীক্ষার মুখে পড়বে। বড় পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন করতে না পারলে বাংলাদেশের উৎপাদনশীল শক্তিতে রূপান্তর হতাশায় পরিণত হতে পারে।”
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অপরিহার্য। অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।