স্বাধীনতার পর যারা দেশের নেতৃত্বে ছিলেন, তারাই গণতন্ত্র ধ্বংসের পথ রচনা করেছিলেন: ড. আবদুল মঈন খান

গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ তুলে সমালোচনায় ড. আবদুল মঈন খান

স্বাধীনতার পরে যারা বাংলাদেশ (Bangladesh)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, তারাই সংসদে মাত্র ১১ মিনিটে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে একদলীয় বাকশাল (BAKSAL) কায়েম করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি (BNP)-র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান (Dr. Abdul Moyeen Khan)।

শনিবার বিকেলে নরসিংদী (Narsingdi)-র পলাশ (Palash) বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল পলাশ-ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চল আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।


শিল্প খাত ধ্বংসের অভিযোগ ও অর্থনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি

পলাশসহ সারাদেশে বিগত সরকারের সময়ে শিল্পখাতে দুর্নীতি, লুটপাট ও শ্রমিক স্বার্থ উপেক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ড. মঈন খান বলেন, পলাশের শতাধিক শিল্প কারখানা শুধু এই এলাকার জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যও উন্নয়নের দ্বার খুলে দিয়েছিল। কিন্তু গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ (Awami League) পলাশের শিল্পাঞ্চলকে একপ্রকার শ্মশানে পরিণত করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিশ্বের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, যা ১৮ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করবে।


উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও সমাবেশের পরিবেশ

শ্রমিক জনতার এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল পলাশ-ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ আল-আমিন ভূঞা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল (Asaduzzaman Babul), পলাশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারউদ্দিন মিল্টন, এবং ছাত্রদল সভাপতি নাজমুল হোসেন সোহেলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।