গত ১৫ বছরের গণমাধ্যম কার্যক্রম নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং জরুরি: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

গণমাধ্যমগুলোর বিগত ১৫ বছরের কার্যকলাপ তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Information and Broadcasting Adviser Mahfuz Alam)।

টিআইবি কার্যালয়ে বিশেষ আলোচনা সভা

আজ রবিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) (Transparency International Bangladesh (TIB))-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের সময় গণমাধ্যমগুলোর যে ভূমিকা ছিল, সেটি এখন বিশ্লেষণের সময় এসেছে। বাংলাদেশের মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টেবিলিটি জরুরি। সাংবাদিকতার জন্য করা সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বেতার (Betar), বিটিভি (BTV) ও বাসস (BSS) নিয়ে একটি জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা গঠনের পক্ষে। পাশাপাশি, সরকারি বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারণ এবং বিজ্ঞাপন নীতিমালা আরও স্বচ্ছ করা প্রয়োজন।”

গণমাধ্যমে কর পরিশোধ ও নীতি সংকট

তিনি অভিযোগ করেন, “অনেক গণমাধ্যম হাউসের নীতিমালা নেই যে তারা রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেবে। রাজনৈতিককরণের ফলে গণমাধ্যম হাউসগুলোর সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।” এ লক্ষ্যে ডিএফপি (DFP)-র সঙ্গে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মূল্য ও লাইসেন্স পুনঃনির্ধারণে কাজ করছে।

সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয় তুলে ধরেন কামাল আহমেদ

আলোচনায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন (Media Reform Commission)-এর প্রধান কামাল আহমেদ (Kamal Ahmed) বলেন, “সাংবাদিকদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত না করা হলে, অসাধু উপার্জনের পথ বন্ধ হবে না।” তিনি আরও বলেন, “যারা বলছে সাংবাদিকদের নবম গ্রেড বেতন দেওয়া সম্ভব নয়, তারা আসলে সরকারি বিজ্ঞাপনের সুবিধা নিতে চায়, অথচ নিজস্ব কর্মীদের ন্যায্য বেতন দিতে চায় না।”

নারীবিরোধী মন্তব্যে সরকারের নীরবতার সমালোচনা

এদিকে, নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সমালোচনার প্রেক্ষিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের নিন্দা জানান টিআইবির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান (Iftekharuzzaman)। তিনি বলেন, “সরকারের এ বিষয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।”