[জুলাই হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ বিচার চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ডিক্যাব টকে রাষ্ট্রদূত মিলার]

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত জুলাই হত্যাকাণ্ড (July Killings) নিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)–এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার (Michael Miller)।

সোমবার (৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব (National Press Club)–এর ভিআইপি লাউঞ্জে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-ডিক্যাব (Diplomatic Correspondents Association, Bangladesh – DCAB) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ এ কথা বলেন তিনি।

স্বচ্ছ বিচার ও সংস্কারের প্রেক্ষাপট

রাষ্ট্রদূত বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের ঘটনায় দোষীদের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করা জরুরি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এ সময়ে সংস্কারের বড় সুযোগ এসেছে, এবং এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিলার বলেন, “ইইউ মনে করে এই কাজে যথাযথ সময় দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচন কবে হবে তা একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে ইউরোপের কোনো চাপ নেই।”

মানবিক করিডর ও রোহিঙ্গা সহায়তা

রাখাইনে মানবিক করিডর প্রসঙ্গে মিলার বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই উদ্যোগকে সমর্থন করে। তবে করিডর স্থাপন হোক বা না হোক, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।”

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তার আগ্রহ

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন নির্বাচন চায় এবং এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিতেও আগ্রহী।”

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মিলার বলেন, “এটা একটি আইনগত প্রক্রিয়া এবং এতে সময় লাগবে। তবে আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত।”

ডিক্যাব নেতৃবৃন্দের বক্তব্য

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন (A K M Moinuddin) ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন (Arifuzzaman Mamun)।