লন্ডন (London) থেকে হিথ্রো বিমানবন্দর (Heathrow Airport) হয়ে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে তিনি হিথ্রোতে পৌঁছান এবং বিদায় জানান তার বড় ছেলে ও বিএনপি (BNP)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)।
বিশেষ বিমানে দেশে ফেরা
কাতার (Qatar) আমিরের প্রদত্ত বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডন থেকে যাত্রা করছেন। উল্লেখ্য, একই বিমানে তিনি লন্ডনে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। তার সঙ্গে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ—জুবাইদা রহমান (Zubaida Rahman) ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান (Syeda Sharmila Rahman)।
বিএনপির প্রস্তুতি ও উচ্ছ্বাস
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir) এর নেতৃত্বে ঢাকা (Dhaka) মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলের নেতাকর্মীরা অভ্যর্থনার পরিকল্পনা করেন।
চিকিৎসা ও লন্ডনে অবস্থান
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া গত ৭ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়েন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান। লন্ডন ক্লিনিক (London Clinic)-এ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি (Prof. Patrick Kennedy) ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস (Prof. Jennifer Cross) এর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।
গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ ও দলের বার্তা
মির্জা ফখরুল বলেন, “এশিয়ার নারীনেত্রীদের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন খালেদা জিয়া। পাকিস্তান সেনাদের হাতে বন্দি থাকা, কারাগারে থাকা, নির্যাতনের শিকার হওয়া—সবই গণতন্ত্রের প্রশ্নে।”
তিনি আরও বলেন, “তিনি আমাদের আলোকবর্তিকা। প্রতিরোধ নয়, ভালোবাসার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছেন তিনি।” নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কোনো যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে তাকে অভ্যর্থনা জানান।”