[আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন জুলাই আন্দোলনকারীরা: প্রেস সচিব শফিকুল আলম]

[প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam)] সম্প্রতি একটি টকশোতে অংশ নিয়ে বলেছেন, “আওয়ামী লীগের (Awami League) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা ঠিক করবেন জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা।” তিনি বলেন, এই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে দলটির রাজনৈতিক অবস্থান।

‘আমরা অপরাধ করিনি’—আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ নিয়ে প্রশ্ন

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। তারা যে ন্যারেটিভ প্রচার করছে—যেমন, ‘আমরা অপরাধ করিনি’, কিংবা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অপরাধমূলক কার্যক্রম চালানোর যুক্তি—এগুলো ‘ভয়ানক ন্যারেটিভ’। যদি এসব সত্য হয়, তবে অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অপরাধীদের বিচার আগে, রাজনীতিতে ফেরা পরে

প্রেস সচিব বলেন, যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের আগে বিচার হতে হবে। তারপরই আলোচনা হবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

তিনি আরও বলেন, “যদি আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে জনসম্মুখে আসতে হবে।”

আন্দোলনকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবি

শফিকুল আলম জানান, আন্দোলনে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন, তাদের অধিকারের লঙ্ঘন ঘটেছে। এর যথাযথ বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচন অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বলেও জানান তিনি।

অস্ত্র বিতরণ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হবে

তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাদের অস্ত্র বিতরণ, পুলিশের ভূমিকা এবং দলীয় সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পাবে।

সরকার প্রতিষ্ঠা ও বর্তমান বাস্তবতা

শফিকুল আলম দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে তাদের উপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের সীমাবদ্ধতা

তিনি বলেন, “সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দিতে, তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সীমিত। এই সীমার মধ্যেই আমরা কাজ করছি।”

পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ

শফিকুল আলম দাবি করেন, গত সাত মাসে আওয়ামী লীগ পুলিশের ওপর ৫০০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।