গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলায় ফেসবুকে উল্লাস, ৫৪ জন আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান

গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah)–র ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নবগঠিত এনসিপি (NCP) দলের এই নেতা ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান চরিত্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় গত ৪ মে, রোববার রাতে। হামলার পরপরই ঢাকা ও গাজীপুর (Gazipur) জেলায় এনসিপির উদ্যোগে মিছিল ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ

এই ঘটনার পর জুলাই আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এনসিপি দাবি করেছে, এটা নিছক একটি রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।

ফেসবুকে উল্লাস ও স্বীকারোক্তিমূলক পোস্ট

ঘটনার পর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করে। এমনকি কেউ কেউ হামলায় জড়িত থাকার কথাও খোলাখুলি লিখেছেন ফেসবুকে।

এই অবস্থায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সরকার এই ধরনের প্রকাশ্য উল্লাস ও হুমকিকে কীভাবে দেখছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “যারা দুই-একটা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা রাতেই ৫৪ জনকে ধরে ফেলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের হামলা করতে না পারে, বা করলে তা ঘটার আগেই আমরা প্রতিরোধ করতে পারি।”

মামলা ও গ্রেপ্তার

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতোমধ্যে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা গ্রহণ করেছে। এ মামলায় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন মাসুদ আহমেদ দিপু সহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।