কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর ও অন্যান্য অঞ্চলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন ও একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
ছাত্রনেতাদের ঐক্যের বার্তা
এমন যুদ্ধাবস্থায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিগত ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন ছাত্রনেতা ও সংগঠকরা। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (Asif Mahmud) সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizen Party) (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন।” একই দলের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Dhaka) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকাই এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য।”
সাবেক শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহিল বাকীও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে একই বক্তব্য দেন।
হামলা ও অভিযানের বিস্তারিত
ডন (Dawn) পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার রাতে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর এবং মুজাফফরাবাদে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর (ISPR)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী (Lieutenant General Ahmed Sharif Chaudhry)। তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।”
রয়টার্স (Reuters) জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধীকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় একযোগে হামলা চালানো হয়। ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি; পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
